বর্তমান ব্যস্ত জীবনে শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখা অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে নানা রোগব্যাধি হানা দিচ্ছে। তাই সুস্থ থাকতে হলে খাবার নিয়ে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরও চাঙা থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই ৮টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস—
১. প্রাকৃতিক ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার বেছে নিন:
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন—চিপস, কোল্ড ড্রিংকস বা ইনস্ট্যান্ট নুডলস শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বরং চেষ্টা করুন সবজি, ফল, ডাল ও মাছের মতো প্রাকৃতিক খাবার খেতে।
২. পরিমিত পরিমাণে খাওয়া অভ্যাস করুন:
একসাথে অনেক খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিমিত খাওয়া এবং পেট ৮০ ভাগ ভরলেই থেমে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
শরীরের সব কার্যক্রম ঠিক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এটি হজম শক্তি বাড়ায় এবং ত্বককে সতেজ রাখে।
৪. তাজা ফল ও শাকসবজি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন:
ফল এবং শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। দিনে অন্তত পাঁচ রকমের ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
৫. অতিরিক্ত চিনি ও লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন:
অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিস এবং লবণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মিষ্টি ও লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার আগে একবার ভাবুন।
৬. নিয়মিত সময়ে খাবার খান:
অনিয়মিত খাবারের সময় শরীরের বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নাশতা, দুপুর ও রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭. বাইরের তেলচিটে খাবার এড়িয়ে চলুন:
ফাস্টফুড, ফ্রাইড ফুড ও অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হার্টের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই এমন খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই ভালো।
৮. খাবারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে:
চিন্তিত বা মন খারাপ থাকলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই খাওয়ার সময় মনোযোগ দিন এবং মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
উপসংহার:
খাদ্য শুধু আমাদের পেট ভরানোর উপায় নয়, এটি শরীর ও মনের সুস্থতার মূল চাবিকাঠি। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে সুস্থ জীবন গড়ে তোলার সময় এখনই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন