ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় একটি মার্কিন ও ইসরাইল সমর্থিত সংস্থার পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। আলজাজিরার বরাতে জানা গেছে, ইসরাইলের এই বর্বর হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১২০ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ গাজার ওই বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্রে সহায়তা নিতে জড়ো হওয়া নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর সরাসরি গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা। হতাহতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায় এবং এর জন্য গাজা থেকে সকল ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাব অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তির বিনিময়ে তারা ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে এবং ১৮ জন মৃত জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে দিতে রাজি রয়েছে। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মূল লক্ষ্য হবে গাজায় সব ধরনের সামরিক আগ্রাসনের অবসান, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা।

যদিও হামাস সরাসরি কোনো সংশোধনী উত্থাপন করেনি, তবে রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস কিছু পয়েন্টে সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। হোয়াইট হাউসও নিশ্চিত করেছে যে, হামাস তাদের সুপরিচিত তিনটি দাবি – স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা – আবারও পুনরুল্লেখ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকেই গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযান শুরু হয়, যা এখনও চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন