বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে জামায়াতপন্থী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও ছাত্রলীগের মতো একই কৌশলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
শনিবার এক বক্তব্যে নাছির বলেন, অতীতে যেভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হুমকির ভাষা ব্যবহার করত, এখন একই ভাষায় ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং সাদিক কায়েম হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পেছনে ছাত্রলীগ ও শিবিরের এক ধরনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। তারা বিচার বা তদন্ত দাবিতে কোনো কার্যকর কর্মসূচি দেয়নি। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাতে তারা দারুণ সক্রিয়।”
নাছির উদাহরণ দিয়ে বলেন, “সম্প্রতি চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে সংঘটিত একটি ঘটনা কেন্দ্র করে শাহবাগে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের বক্তব্য ছিল বিভ্রান্তিকর এবং দুঃখজনক। যারা একসময় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে ছিলেন, তারা এখন শিবিরের ব্যানারে আমাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন।”
তিনি বলেন, “শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এবং সাদিক কায়েম – উভয়েই পূর্বে ছাত্রলীগের পদে ছিলেন। এখন তারা শিবিরের পরিচয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন। অতীতে যেভাবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিত, আজ তাদের হাত ধরে সেই একই ভাষা ফেরত এসেছে।”
নাছির অভিযোগ করে বলেন, “চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে একটি কমিটমেন্ট ছিল – কোনো ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসের ভেতরে বুথ বসাবে না। অথচ মধ্যরাতে ছাত্রশিবির সেই চুক্তি ভেঙে বুথ স্থাপন করে, যার জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর তারা মিথ্যা প্রচারণা শুরু করে যে, ছাত্রদল তাদের ওপর হামলা করেছে। অথচ সেখানে বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি।”
তিনি উল্লেখ করেন, “এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীর সঙ্গে রাবেয়া তাহসিন মুনের সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তার ব্যক্তিগত নম্বর এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা তাকে সামাজিকভাবে চরম হেনস্তার মুখে ফেলে।”
নাছির বলেন, “এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে রাবেয়া তাহসিন মুন অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অথচ যাচাই না করেই কিছু গণমাধ্যম ভুয়া খবর পরিবেশন করে। এই ভুয়া খবর ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নিজের আইডি থেকে শেয়ার দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করেন।”
সবশেষে নাছির দাবি করেন, “রাবেয়া তাহসিন মুন ছিলেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের একজন সাহসী মুখ। অথচ সংবাদে তাকে উল্টো ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দুই নারী শিক্ষার্থীকে জোর করে মিছিলে নেওয়ার অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন