রবিবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ সর্বসম্মত রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে তার দলীয় নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ।”
তিনি জানান, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াই শেষে দলটি তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এ রায়ের মাধ্যমে একটি বড় ধরনের ‘জুলুম ও নিপীড়নের’ অবসান হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিবন্ধন পায়। এরপরও ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি একটি মহল হাইকোর্টে রিট দায়ের করে দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবি তোলে। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিভক্ত রায় দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।
ডা. শফিক বলেন, “আমরা হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আমাদের পক্ষে রায় দিয়ে দলীয় নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
তিনি আইনজীবী, শুভানুধ্যায়ী ও দলীয় সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে যারা এই আইনি লড়াইয়ে আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
জামায়াত আমির আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “এই রায় দেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি আরও জোরদার হবে, ইনশাআল্লাহ।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন