রাজধানীর পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে দশ কাঠার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ মে দিন ধার্য করেছে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত দিনে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় আদালত পরবর্তী তারিখ হিসেবে ২৫ মে নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। আজ সেই গ্রেপ্তারি প্রতিবেদনের জমাদানের দিন ছিল।
শেখ হাসিনা ও পুতুল ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তারা হলেন:
জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মো. খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তিনি আদালতে চার্জশিট জমা দেন, যেখানে মোট ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয় এবং ১৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় পরিবারের মালিকানাধীন সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে অবৈধভাবে একটি প্লট বরাদ্দ নেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এ ক্ষেত্রে তিনি তার মায়ের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও বিধিবিধান উপেক্ষা করে বরাদ্দ পাওয়া ওই প্লটটি (সেক্টর ২৭, রাস্তা ২০৩, প্লট ১৭) সায়মা ওয়াজেদের নামে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। এতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, বেআইনি লাভ ও অপরাধমূলক যোগসাজশের মাধ্যমে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন