ময়মনসিংহে নিজ কক্ষে আত্মহত্যা করেছেন ধ্রুবজিৎ কর্মকার নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তিনি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার ও সুপ্তা কর্মকার দম্পতির একমাত্র সন্তান। ধ্রুবজিৎ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত ছিলেন।
আত্মহত্যার আগে রেখে যাওয়া একটি চিরকুটে ধ্রুবজিৎ লেখেন, “সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবাইকে ক্ষমা করে দিও। কার্ডের পিন (...)—মার হাতে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। আগামীবার ফার্মেসিতে ভর্তি হবো। এত চাপ সহ্য করা সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।”
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, রোববার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ধ্রুবজিৎ নকল করতে গিয়ে শিক্ষক দ্বারা আটক হন। এরপর তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরেই নিজ রুমে ফিরে তিনি আত্মহত্যা করেন। অধ্যক্ষ আরও বলেন, “ছেলেটি আগে থেকেই মানসিক চাপে ভুগছিল। নকলের ঘটনায় সে ভেঙে পড়ে থাকতে পারে। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক।”
সহপাঠীদের ভাষ্য অনুযায়ী, নকলের সময় ধ্রুবজিৎ কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিক্ষকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছিলেন এবং অনুরোধ করেছিলেন যেন তাকে বহিষ্কার না করা হয়। কিন্তু শেষে হতাশ হয়ে নিজ রুমে ফিরে যান। ওই সময় তার রুমমেটরা পরীক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ই জানান, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন