বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাপ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হতে পারে উত্তরণের পথ।
শুক্রবার (২৩ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে পটুয়াখালী জেলা ফোরামের প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, “বাংলাদেশ এক কঠিন পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে রয়েছে। নির্বাচন এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।” তিনি সরকারের উদ্দেশে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান, যাতে নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা থাকে।
তিনি বলেন, “এমন উদ্যোগ গুজব ও ষড়যন্ত্র প্রশমনে কার্যকর হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে জামায়াত কোনো আপস করবে না।”
অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে বিচারিক সংস্কার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও কালো টাকা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ দিয়েও জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “ভোট নিয়ে ছিনিমিনির সুযোগ দেওয়া হবে না। বর্তমানে দেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ভোট নিয়ে শঙ্কিত।”
তার মতে, “প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সুষ্ঠু ভোট আয়োজন নিয়ে সংশয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন। তবে শুধু তিনিই নন, রাজনৈতিক দলগুলোরও এই দায় স্বীকার করা উচিত। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে উদ্যোগ নিতে হবে।”
এই বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে বাড়ছে জনগণের প্রত্যাশা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন