ড. মাসুদের খনন করা খালের পানিতে প্রাণ ফিরে পেল কৃষকরা

পটুয়াখালীর বাউফলের কৃষকদের কপালে যেন নতুন করে হাসি ফুটেছে। দীর্ঘদিন পানির সংকটে ভুগতে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম রাজাপুরের মাঠগুলোতে আবারও দেখা দিয়েছে সেচের সম্ভাবনা। এর পেছনে অন্যতম অবদান স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন বাউফল উন্নয়ন ফোরাম এবং এর চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এর।

বহু বছর ধরে অস্তিত্বহীন চালতাবাড়ী (হোতা) খালটি ছিল মরা খালের মতো। কোনো স্রোত ছিল না, ছিল না কৃষিকাজের সহায়তাও। কিন্তু ড. মাসুদের সরাসরি উদ্যোগ ও তদারকিতে সম্পন্ন হওয়া খাল পুনঃখননের কাজ নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে কৃষকদের জন্য। বর্তমানে খালজুড়ে বইছে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ, যা নতুন করে সেচ সুবিধা এনে দিয়েছে এলাকার কৃষিজমিতে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, একসময় তারা ফসলের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় চোখ ছিল আকাশপানে। এখন সেই জায়গায় তারা নিজেরাই খাল থেকে সেচ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। একজন কৃষক আবেগের সাথে বলেন, “বছরের পর বছর এই খালে পানি ছিল না। কোনো নেতা আমাদের কথা কানে নেননি। একমাত্র ড. মাসুদ সাহেব এগিয়ে এসেছেন, তিনি আমাদের কথা কাজে প্রমাণ করেছেন।”

বাউফলের সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন, কৃষকদের প্রয়োজন রাজনীতি নয়, কার্যকর সহযোগিতা—যেমনটি করছেন ড. মাসুদ। ট্রাক্টর, বীজ, সার, ছাতা—এইসব বাস্তব কৃষি সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি হয়েছেন সত্যিকারের কৃষকবান্ধব একজন ব্যক্তি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ড. মাসুদ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নানা রকম কৃষি উপকরণ দিয়ে। সম্প্রতি তীব্র রোদে মাঠে কাজ করা শতাধিক কৃষককে ছাতা বিতরণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তার প্রতিটি উদ্যোগে ফুটে উঠেছে কাজ দিয়ে কথা বলার নজির।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন