গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক লেনদেন এবং রাজনৈতিক কৌশলের বিস্তৃত অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, “ইশরাক ও তাবিথ ভাইদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বাসা ভাড়া দিয়েছি। এমনকি বিএনপি নেতাদের মাঝে যারা আন্দোলনে সক্রিয়, তাদের কেউ কেউ নতুন ডিভাইস কেনার জন্য টাকা পেয়েছেন সালাহউদ্দিন ভাইয়ের কাছ থেকে। বরকতউল্লাহ বুলু পলাতক থাকলেও অন্য একজনের মাধ্যমে সেই অর্থ পাঠানো হয়েছে।”
নুর দাবি করেন, আন্দোলনের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হয় কিভাবে ছাত্রদল, যুবদলকে মাঠে নামানো হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দিন ছাত্রদলকে ফ্রন্টলাইন ‘ব্যাংকার’ হিসেবে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। একইসাথে ছাত্রলীগকে পিছু হটানোর কৌশলও আমরা সাজিয়েছিলাম।”
বৈদেশিক মিশনে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নুর। তিনি বলেন, “মালয়েশিয়ায় আমাদের ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল, যাঁরা অ্যাম্বাসেডর ছিলেন, তাঁরা এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। দেশের অভ্যন্তরে দশটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনাররা এখনো সরকারি দায়িত্বে বহাল, অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
অভিযোগের শেষদিকে নুর বলেন, “দুইজন উপদেষ্টার কথায় প্রভাবিত হয়ে ভুল করেছি। তাঁরা বলেছিলেন, ‘ওদের দিয়ে ভালো কাজ করানো যায়।’ কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন