৫ দশক পর জাতিসংঘের সংস্থায় পদোন্নতি পেল ফিলিস্তিন

দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় পর বড় ধরনের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের শ্রমসংক্রান্ত অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ফিলিস্তিনকে ‘জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন’ থেকে উন্নীত করে ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএলও’র ১১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই স্বীকৃতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

এর মাধ্যমে আইএলও হয়ে উঠলো জাতিসংঘের তৃতীয় সংস্থা, যারা ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল। এর আগে ২০২৪ সালের ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়। একই মাসে ইউনেস্কো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) এই স্বীকৃতি দেয়।

পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে, ফিলিস্তিন এখন আইএলও’র বিভিন্ন সভা, আলোচনায় অংশ নিতে পারবে এবং নিজস্ব মতামত তুলে ধরতে পারবে। তবে কোনো প্রস্তাবে ভোটাধিকার থাকবে না— এটি পূর্ণ সদস্যপদের এক ধাপ আগের অবস্থান।

আইএলও’র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ও রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ক্রাইশি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেট ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আইএলও সেই সিদ্ধান্তের জবাবে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, রোববারের সম্মেলনে যখন ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রস্তাব তোলা হয়, তখন মাত্র হাঙ্গেরি ব্যতীত সব সদস্য রাষ্ট্র এর পক্ষে ভোট দেয়।

ইব্রাহিম ক্রাইশি বলেন, “হাঙ্গেরির এই সিদ্ধান্ত আমাদের বিস্মিত করেছে। কারণ ১৯৮৮ সালেই তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তখনও বিশ্বের অনেক দেশ এমন স্বীকৃতি দেয়নি।”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন