গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বললেই দোষারোপ করা হচ্ছে, অথচ নির্বাচন ছাড়া দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি শক্তিশালী করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, "নির্বাচনের কথা বললেই কেউ কেউ ভারতের দালাল কিংবা আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তারাই কি গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না?"
সোমবার (২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
দুদু বলেন, “নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে, জনগণকে ভালো রাখতে এবং প্রকৃত গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হলে একটি নির্বাচিত সরকার জরুরি।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ চরমভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তখন দেশের মানুষ বড় বিপদের মুখোমুখি হবে।”
আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, দেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ধীরে ধীরে গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। “যারা একসময় পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তারাই এখন নিজেদের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দাবি করছে। অথচ গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পক্ষে তারা কখনোই দাঁড়ায় না।”
তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছেন। বিএনপি গত ১৫-১৬ বছর ধরে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।”
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির এই নেতা বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করছে। হাজারো নির্যাতন, গুম, খুন, হামলা সহ্য করেও গণতন্ত্রের পথ থেকে আমরা সরে যাইনি। ভবিষ্যতেও গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিতে হলে দেবো, তবুও আপস করবো না।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন