জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে বিতর্কে জড়ান বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ দুই নেতা। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ ও নাহিদ ইসলামের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত শোনেন কমিশনের সদস্যরা। বিএনপির পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ স্পষ্টভাবে বলেন, “৩১ ডিসেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি একদিনের জন্যও সময় দিতে রাজি নয়।”
তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম কটাক্ষ করে বলেন, “কিছু দল ভারতের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। তাদের অবস্থান ভারতের মতোই মনে হচ্ছে।”
এ মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন পাল্টা জবাব দেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন চাওয়া যদি ভারতের সুরে কথা বলা হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা কি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের সুরে কথা বলছে?”
এই মন্তব্য বিনিময়ের পর বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তর্ক-বিতর্কে রূপ নেয়। পরে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে পারে। এজন্য নির্বাচনী সংস্কার জরুরি, এবং তা দ্রুত চিহ্নিত করে সম্মতিতে বাস্তবায়ন করা দরকার।”
অন্যদিকে এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম জানান, “জুলাই সনদের বাস্তবায়নের আগে নির্বাচন ঘোষণা হলে তা সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই তারিখ ঘোষণা আগে নয়, সংস্কার আগে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন