মসজিদে চু রি করে স্বীকার করলেন যুবলীগ নেতা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে ইছা মিয়া (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। পরে একটি মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন স্থানীয়রা। পুরো ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

অভিযুক্ত ইছা মিয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, গত ৩১ মে (শনিবার) রাতে সাধেরখলা হাজি এমএ জাহের উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালেই চোর সন্দেহে গ্রামবাসীরা ইছা মিয়াকে ধরে দোকানের একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। এসময় তিনি চুরির কথা স্বীকার করেন এবং কিছু চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয় বলেও স্থানীয়রা জানান।

এছাড়া, ইছা মিয়া ওই এলাকায় আরও কয়েকটি বাড়ি ও একটি মসজিদে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। পরবর্তীতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সাড়া না দেওয়ায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।

দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রোপন মিয়া বলেন, "ইছা মিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই চুরির অভিযোগ পাচ্ছি। এবার গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ার পর সে দোষ স্বীকার করে এবং কিছু জিনিস ফেরত দেয়। পরে কাগজে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।"

এদিকে পার্শ্ববর্তী আমতইল গ্রামের নুর আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, "ইছা মিয়া একজন ভয়ংকর চোর। সে মসজিদেও চুরি করেছে। আমার বাড়ি থেকেও টাকা ও গয়না চুরি করেছে। তার ভয়ে আশপাশের ৮-১০ গ্রামের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না।"

তবে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, "চুরির বিষয়ে থানায় কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া আইনবিরুদ্ধ। কেউ অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।"

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন