বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, দেশের জনগণ আর কোনোভাবেই দুর্নীতিতে জড়িত উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, জনগণের অর্থ লুটপাট করে কিছু উপদেষ্টা সেই টাকা বিদেশে পাচার করছে এবং নিজেদের পরিবারকে লাভবান করছে। এখন এসব বিষয় জনগণের কাছে স্পষ্ট।
শনিবার রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন ২৮ জুন ‘তারুণ্যের মহাসমাবেশ’ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন, ‘‘বিএনপি সবসময় জনগণের ওপর আস্থা রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের অধিকার এবং স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই আমরা একটি মানবিক ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের কারণে পুরো ব্যবস্থাটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। আমরা অবিলম্বে এসব দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করছি।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আমিনুল হক বলেন, ‘‘তিনি দেশ-বিদেশে সম্মানিত একজন ব্যক্তি। তিনি ক্ষমতা ছাড়ার যে চিন্তা করছেন, তা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।’’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, ‘‘স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা বহুদিন ধরেই সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার নানা অজুহাত তুলে নির্বাচন থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে। জনগণ এসব অজুহাতে বিভ্রান্ত হবে না।’’
আমিনুল হক বলেন, ‘‘গত ৯ মাসেও এই অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। বরং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরাই রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’’
তরুণ ভোটারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি তরুণ ভোটার রয়েছেন। গত দেড় দশকে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। নতুন প্রজন্ম একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়, এবং আমরা তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাশে আছি।’’
সভায় মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাকসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন