প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া নির্বাচনের সময় ‘এপ্রিল ফুল’ হতে পারে

দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন চায় বলে জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিস্ট শাসকের পতন ঘটেছে। তাই নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়ালে তা হবে ‘এপ্রিল ফুল’ বলেই গণ্য।

শনিবার (৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে জোট নেতারা এই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, “একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। এপ্রিল মাসে ভোট আয়োজনের প্রস্তাব বাস্তবতা বিবর্জিত এবং জনগণের দাবির পরিপন্থী। এপ্রিল মাসে থাকে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, আবহাওয়াও অনুকূল থাকে না। পাশাপাশি রমজান মাস থাকায় নির্বাচন পরিচালনায় নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।”

নেতারা প্রশ্ন তোলেন, “অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কার মনোরঞ্জনে ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন এগিয়ে এপ্রিলে নিতে চাইছেন?” তারা বলেন, “কালবৈশাখী ও খরার মধ্যে নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই নির্বাচন কমিশনকে এখন থেকেই ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”

একই বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে। নেতারা বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিজের দায়িত্ব ও যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী।”

তারা আরও বলেন, “ড. ইউনূসের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, তিনি আসলেই দেশ ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ঈদের পর তার এ বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।”

জোটের নেতারা দাবি করেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকেও নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলেন, “আমরা আশা করি, দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং ডিসেম্বরেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন:

১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার

জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম

সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম

জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান

লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব

ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম

নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম.এ. মান্নান

প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন