বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর ২৫ থেকে জুন ২৬ পর্যন্ত সময়কে নির্বাচনের উপযুক্ত সময় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে আমাদের মতে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন হওয়া উচিত—রোজার আগেই। যদি কিছু শর্ত পূরণে বিলম্ব হয়, তাহলে এপ্রিল পার না করাই শ্রেয়। কারণ মে মাস থেকে আবহাওয়া দিন দিন খারাপ হতে থাকে, যা নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয়।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি, কিন্তু সময় নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের নেই। সরকারই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা কেবল আমাদের দাবি ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে পারি।”
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জামায়াত আমির বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা আশাবাদী বা হতাশ হওয়ার অবস্থানে যেতে চাই না। নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করতে চাই।”
দলের নিবন্ধন বাতিলে যেসব মহল জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে তেমন কিছু ভাবিনি। তবে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনব।”
ফ্যাসিজম প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যারা জীবন বাজি রেখে দেশের পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছেন, তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদের অবসান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বলা যায়—ব্যক্তি ফ্যাসিস্টরা চলে গেলেও, ফ্যাসিজম এখনও রয়ে গেছে। জাতি এখনো এর কালো ছায়ায় ভুগছে।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন