বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং শেষ হয় ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে। সে হিসেবে কমিশনের দায়িত্ব আমরা সম্পন্ন করেছি। যেহেতু গেজেট এখনো বহাল আছে, তাই নির্বাচন কমিশনের আর কিছু করার নেই।”
তিনি আরও জানান, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের দেওয়া রায় এবং পর্যবেক্ষণগুলো কমিশনে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আপিল বিভাগ স্পষ্টভাবে বলেছে, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব রয়েছে। এ বিষয়টি আদালত পাঁচটি ডিএলআর রেফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, “যেসব রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বনাম নির্বাচন কমিশন এবং মাহমুদুল হক বনাম এনায়েত উল্লাহ মামলার রায়ের দৃষ্টান্ত। এসব রেফারেন্সেই বলা হয়েছে, গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।”
ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “গেজেট প্রকাশের পর শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী নির্ধারিত। এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের আওতায় পড়ে না। তবে আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, যদি আইনি কোনো বাধা না থাকে, তাহলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারেন। সেই বার্তাটি গেজেটের কাভার লেটারেই উল্লেখ করা হয়েছে।”
এদিকে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কিংবা আপিল বিভাগকে নতুন করে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বর্তমানে আমরা তেমন কোনো প্রয়োজন দেখছি না।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন