ভারতের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোকে ‘অযৌক্তিক বিলাসিতা’ হিসেবে দেখছেন দেশটির বহু নাগরিক। কাশ্মীরে একটি সন্ত্রাসী হামলার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানে হামলা পরিচালনা করলেও, এতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু নিরীহ বেসামরিক মানুষ।
সামরিক এই অভিযানে ভারতের রাফালসহ অন্তত ছয়টি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিরোধে ভারতের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২.৫ লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ। বিশাল এই ক্ষতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোদি-বিরোধী বিক্ষোভ ও সমালোচনার ঢেউ উঠেছে।
তবে, এই গণআন্দোলনকে দমিয়ে দিতে ভারতের প্রভাবশালী কিছু গণমাধ্যম বিক্ষোভকারীদের ‘পাকিস্তানপন্থী’ আখ্যা দিচ্ছে এবং আন্দোলনটিকে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। বাস্তবে, এই আন্দোলনে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান—সব ধর্মের মানুষই অংশ নিচ্ছেন। তাদের ভাষ্য, যেখানে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ার মুখে, সেখানে যুদ্ধের পথে গিয়ে এমন বিপুল ক্ষতির কোনও যুক্তি থাকতে পারে না।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তুলছে, পেহেলগাম হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনী কেন হঠাৎ প্রত্যাহার করা হয়েছিল, এবং এর পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য কী ছিল? এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা আসেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, মোদি সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হিন্দুত্ববাদ উসকে দিতেই সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। আর এর ফলেই যে কেবল সামরিকভাবে নয়, কূটনৈতিক ও আর্থিক দিক থেকেও বড় ধাক্কা খেল ভারত—তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অনেকেই মনে করছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে আসলে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিরই পরাজয় ঘটেছে, যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন