ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা একটি অমার্জনীয় অপরাধ। তিনি বলেন, গাজার মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা প্রতিটি মুসলমানের ধর্মীয় এবং নৈতিক দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন কালিবাফ। সেখানে তিনি বলেন, “ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শুধু ধর্মীয় কর্তব্যই নয়, বরং এটি একটি মানবিক প্রয়োজনীয়তা। ‘অহংকারের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সময় বা ভূগোলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি চিরন্তন দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের সময়ে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান নির্মম দমন-পীড়ন বিশ্বের বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো ঘটনা। এ ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের মুখে নীরব থাকা মানেই মানবতা ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞা।”
ইরানের এই শীর্ষ নেতা অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া সমর্থনই ইসরায়েলকে এই আগ্রাসন চালিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে। যা শুধু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে না, বরং মানবিক মূল্যবোধকেও উপেক্ষা করছে।
তিনি ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের উদাহরণ টেনে বলেন, “যেভাবে ইন্দোনেশিয়া ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয় অর্জন করেছে, সেভাবে আজ গোটা ইসলামী বিশ্বের উচিত ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। নিপীড়নের বিরুদ্ধে নীরব থাকা কুরআন, ইতিহাস এবং মানবতা— তিনটির সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন