বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কাকরাইল মোড়ে চলমান অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “একটি বৈষম্যহীন দেশে কখনোই একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা চালানো সম্ভব নয়। ১৪ মে ঘটে যাওয়া সেই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চাই আমরা।”
তিনি আরও বলেন, “মাহফুজ আলম নিজেও এক সময় ছাত্র আন্দোলনের অংশ ছিলেন। তাই আমরা আশা করেছিলাম তিনি আমাদের পাশে থাকবেন, সহযোগিতা করবেন। কিন্তু উনি সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করেছেন। এখন এমন ভাব করছেন যেন ছাত্রদের কথা বলা অপরাধ।”
দাবি পূরণে আশ্বাস পেলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে ফিরতে মাত্র দুই মিনিট লাগবে বলেও জানান।
“আমরা এখান থেকে সরছি না যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। পুরো ক্যাম্পাস এখন শাটডাউনে, আমরা শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই একত্রে আন্দোলনে আছি,”— বলেন তিনি।
এর আগে সকাল থেকেই চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয়ভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর কাকরাইল মোড় পর্যন্ত। প্রায় ৩০টি বাসে করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিতে আসেন।
দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা ধরে চলা এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজেও পিছু হটেননি।
জবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো:
1. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা চালু করা।
2. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট থেকে কোনো ধরনের কাটছাঁট ছাড়াই তা অনুমোদন।
3. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনের কাজ দ্রুত একনেক সভায় অনুমোদন ও বাস্তবায়ন।
4. ১৪ মে’র পুলিশি হামলার বিচার করে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন