পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গত ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর টানা হামলায় দেশটির ১১ জন সেনাসহ অন্তত ৫১ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৯৯ জন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ৬ মে রাতে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই ভারতীয় বাহিনী সীমান্তের ওপার থেকে গুলি ও গোলাবর্ষণ শুরু করে। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। আহতদের মধ্যে নারী ১০ জন এবং শিশু ২৭ জন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, মাতৃভূমির রক্ষায় ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে ১১ জন সেনা সদস্য শহীদ হন এবং ৭৮ জন আহত হন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়, “পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা যদি কখনও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, তাহলে তার জবাব দেওয়া হবে দ্রুত, শক্তভাবে ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে।”
এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানি হামলায় দেশটিতে অন্তত ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৫ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, “ভারতের এই ভয়াবহ আগ্রাসন আমাদের জাতিকে আগের চেয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় করেছে। দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনী নয়াদিল্লির যেকোনো শত্রুতার মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত।”
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আমরা নিহত সবার আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।”
পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে 'প্রমাণিত সন্ত্রাসী' হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “তারা শুধু নিজেদের দেশে নয়, বিদেশেও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। কানাডায় গিয়ে তারা শিখ সম্প্রদায়ের নেতাদের ওপর হামলা করেছে।”
খাজা আসিফ দাবি করেন, ইসলামাবাদের হাতে এমন প্রমাণ রয়েছে, যা স্পষ্টভাবে দেখায়, ভারত কীভাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থায়ন করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন