ঢাকা: একাধিক বিয়ের অভিযোগ ও পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ তুলে স্বামী মুফতি তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। এ পর্যন্ত তালহা ইসলাম ৯টি বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন হ্যাপি।
বুধবার (১৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস। এর আগে সোমবার (১১ মে) রাজধানীর একটি থানায় মামলাটি দায়ের করেন হ্যাপি।
আইনজীবী জানান, কয়েক বছর আগে অভিনয় জগত ছেড়ে ধর্মীয় জীবনে মনোনিবেশ করেন হ্যাপি। সাত বছর আগে তার বিয়ে হয় নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ধর্মীয় নেতা প্রয়াত মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহা ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর নারীদের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির বিষয়টি জানতে পারেন হ্যাপি।
অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “তালহা ইসলাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নারীকে কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৯ বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।”
হ্যাপি অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন্য তাকে নিয়মিত নির্যাতন করা হতো। স্বামী তালহা ইসলাম তার ও সন্তানের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। সামান্য মতবিরোধ হলেই সহিংস আচরণ করতেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “তালাক চেয়ে বহুবার অনুরোধ করলেও তালহা ইসলাম আমাকে নির্যাতন করেছেন। তালাকের পরিবর্তে এক কোটি টাকা কিংবা সন্তানকে আজীবনের জন্য ছাড়ার মতো অমানবিক শর্ত দিয়েছেন তিনি।”
হ্যাপির দাবি, মামলার পর থেকেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। “মামলার পরের রাতে তালহা লোকজন নিয়ে বাসায় ঢুকে ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক মালামাল নিয়ে যান,” বলেন হ্যাপি।
তিনি জানান, “এতদিন সহ্য করেছি সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কিন্তু এখন আর সহ্যের সীমা নেই—সব কিছু প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।”
তালহা ইসলামের মন্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তিনি দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন