ইউক্রেইন জুড়ে রাশিয়ার তুমুল হামলা, নিহত ১৩

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার দুই দফায় বড় পরিসরে বন্দি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও যুদ্ধক্ষেত্রে এর প্রভাব দেখা যায়নি। আলোচনা চলাকালীনই ইউক্রেইনের বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো হয় রাশিয়ার লাগাতার ও ভয়াবহ হামলা।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, এই দফায় রাশিয়ার বেপরোয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫৬ জন।

ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী জানায়, শুধু রাজধানী কিইভেই ২৫০টি ড্রোন ও ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। এতে শহরের একাধিক আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং কমপক্ষে ১৪ জন আহত হন।

এই হামলাকে যুদ্ধের শুরুর পর থেকে রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিমান হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইউক্রেইন বলছে, তারা ২৪৫টি ড্রোন ও ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।

এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “প্রতিটি হামলাই প্রমাণ করছে—এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার মূল কারণ মস্কো নিজেই।”

বন্দি বিনিময়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয় এই ধারাবাহিক আক্রমণ। জেলেনস্কি এই রাতকে ‘কঠিন এক রাত’ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, কিইভজুড়ে বিমান হামলায় বহু ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহন পুড়ে গেছে কিংবা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া, পূর্ব দোনেৎস্কে চারজন, দক্ষিণের ওদেসা ও খেরসন অঞ্চলে পাঁচজন এবং উত্তর-পূর্ব খারকিভে চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

জেলেনস্কি আরও বলেন, “রাশিয়ার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে হয়তো তাদের যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো সম্ভব হবে।”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন