বুধবার (২৮ মে) রাত পৌনে ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি এসব কথা বলেন। ছবিটি রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা' শীর্ষক সমাবেশের।
ফেসবুক পোস্টে ফখরুল বলেন, “প্রথম দিন থেকেই আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে শুধু সমর্থনই করিনি, বরং সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছি। আমরা প্রতিটি সংস্কার বৈঠকে অংশ নিয়েছি, আমাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি এবং দ্বিমতের জায়গায় যুক্তি দিয়ে কথা বলেছি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আমরা একটা রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। কিন্তু ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ পাওয়া যায়নি। এটা এড়িয়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে হবে। কোনো অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা যেন ভুলে না যাই, আমরা এমন একটি শাসনব্যবস্থা থেকে উঠে এসেছি যা ছিল কর্তৃত্ববাদী এবং একনায়কতান্ত্রিক। এখন জনগণ এমন একটি সংসদ চায়, যা তাদের দ্বারা নির্বাচিত হবে এবং সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করবে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ এখন এমন একটি সংসদের জন্য প্রস্তুত, যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে গঠিত সরকার মানবাধিকার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে।”
---
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন