পোস্টে উমামা লেখেন, “যারা এতদিন ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় নিজেকে আড়াল করে ছিল, এখন তারাই অন্যদের ‘লীগ-ঘেঁষা’ বলে আঙুল তুলছে। ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে ছাত্রশিবির বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিকে বিষাক্ত করে তোলার কাজ শুরু করে। গত ১৫ বছর ধরে এদের অনেকে ছাত্রলীগের হয়ে হলে আধিপত্য দেখিয়েছে।”
তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির নিজেদের ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ হিসেবে উপস্থাপন করলেও, তাদের কর্মকাণ্ডে বারবার প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়েছে। এদের কারণে ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনৈতিক বিতর্কের পরিবেশ তৈরি হতে পারেনি।”
৮ মার্চ ঢাবিতে এক ধর্ষণবিরোধী মিছিলে অংশ নেওয়ার স্মৃতিচারণ করে উমামা বলেন, “সুফিয়া কামাল হল থেকে মিছিল করে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু তথাকথিত ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’ হলপাড়া থেকেই বের হয়নি। অথচ অন্য সময়ে সামান্য কিছু হলেই তারা মিছিল করে।”
ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, “এরা ছাত্রলীগের দুঃশাসনের সময় কোনো প্রতিবাদ না করে বরং নির্যাতনের অংশীদার হয়েছে। এখন আবার ‘লীগের দোসর’ ট্যাগ দিয়ে অন্যদের রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করছে।”
২০২৪ সালের কথিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে উমামা বলেন, “৩১ জুলাই আমরা রাজু ভাস্কর্যে বসে ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জনের ডাক দেই। অথচ তখন কিছু ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সজেন্ডার কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল, কিন্তু ভোট ডাকাতি নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। সেই ব্যক্তিরাই এখন ‘জুলাই আন্দোলনের ঠিকাদার’ সেজেছে।”
উমামার বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি মনে করেন ছাত্রশিবির ও তাদের মতো দলগুলো দেশের ছাত্ররাজনীতিকে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পথে নিয়ে যাচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন