ইসরাইলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২৫ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৩৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসির এলাকায়, যেটিকে পূর্বে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
রবিবার আল-জাজিরার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার ও ভয়াবহ হামলার ফলে উত্তর গাজার সব সরকারি হাসপাতাল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
এই সহিংসতা শুরু হয় এমন সময়, যখন একদিকে ইসরাইল গাজায় নতুন করে স্থল অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং অন্যদিকে কাতারে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনার পুনরায় সূচনা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, গত কয়েক মাসে ইসরাইলি আগ্রাসনে ৫৩,৩৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১,২১,০৩৪ জন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়েছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, গাজায় নিরীহ মানুষের ওপর হামলার জবাবে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের দখলকৃত অঞ্চল—বিশেষত তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে এসব অঞ্চলে সতর্কতা সংকেত (সাইরেন) বেজে ওঠে এবং ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ বেন-গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ গোষ্ঠীর তথ্য শাখার উপপ্রধান নাসরেদ্দিন আমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, "গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার জবাবে ইয়েমেন এমন প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে। এখন ইসরাইলি অধিকৃত সব বিমানবন্দর অনিরাপদ।"
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যতদিন না গাজায় হামলা বন্ধ হবে এবং অবরোধ তুলে নেওয়া হবে, ততদিন ইয়েমেনের সামরিক হামলা আরও ঘন ঘন এবং শক্তিশালী হবে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন