জরুরি অবতরণ করা তার্কিশের বিমানের ইঞ্জিনের ভেতর থেকে একটি পাখি মৃত অবস্থায় উদ্ধার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তবে পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও দক্ষতায় বিমানটি নিরাপদে জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হয়, ফলে রক্ষা পান বিমানের ২৯১ আরোহী।

মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৮ মিনিটে তুরস্কের ইস্তাম্বুলগামী TK713 ফ্লাইটটি (এয়ারবাস A330-303) ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। তবে আকাশে ওঠার মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট একটি ইঞ্জিনে অস্বাভাবিক স্পার্ক লক্ষ্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তেল খরচ কমাতে আকাশে চক্কর দিতে থাকেন এবং সতর্কভাবে বিমানটিকে সকাল ৮টা ২ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান।

বিমানের অবতরণের পর পরই ইঞ্জিন পরীক্ষায় নামে বিমানবন্দরের প্রকৌশল দল। তারা ইঞ্জিনের ভেতরে একটি পাখির মৃতদেহ খুঁজে পান, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি বার্ড হিটের ঘটনা হতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ জানান, উড্ডয়নের পর একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক দেখা যায়, যা সম্ভবত পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ঘটে থাকতে পারে।

বিমানটিতে ১৯ জন বিজনেস ক্লাস, ২৫৬ জন ইকোনমি ক্লাস যাত্রী ছাড়াও পাঁচজন শিশু এবং ১১ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। যাত্রীদের সাময়িকভাবে হোটেলে পাঠানো হয়েছে এবং বিকল্প ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৬ মে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ারের চাকা খুলে পড়ে যায়। সেদিনও পাইলটের দক্ষতায় শিশুসহ ৭১ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন