ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের শঙ্কা, বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সম্ভাবনা জোরদার হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ করে লাফিয়ে বেড়েছে। ইসরায়েল নাকি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববাজারে উদ্বেগ তৈরি হয়, যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তেলের দামে। খবর: রয়টার্স।

রয়টার্সের তথ্যমতে, ২১ মে বুধবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় ৮৬.১৭ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ৭৯ সেন্ট বা ১.২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের মূল্য বেড়ে হয় ৮২.৮৫ ডলার, বৃদ্ধি পেয়েছে ৮২ সেন্ট বা ১.৩ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, যদি ইসরায়েল সত্যিই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, তাহলে ইরান তার তেল রপ্তানি বন্ধ করতে পারে। এমনকি হরমুজ প্রণালীতে নৌ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক ও আমিরাত থেকেও তেলের সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটবে।

উল্লেখযোগ্য যে, ইরান ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদক। দেশটি প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক জ্বালানি মজুদের তথ্য অনুযায়ী, অপরিশোধিত তেলের মজুদ কিছুটা বাড়লেও পেট্রল ও ডিজেলের মজুদ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে বাজারে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে। অন্যদিকে, ওপেক প্লাসের উৎপাদন সীমিত রাখার আহ্বান উপেক্ষা করে কাজাখস্তান তেল উৎপাদন ২ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা সরবরাহে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।

পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক আলোচনার অচলাবস্থা। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান সংলাপে এখনো কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। উভয় পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন