গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “সরকার বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তাই সব রাজনৈতিক দলই এখন ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। কিন্তু যদি কোনো কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায়, তাহলে সরকারের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত—অতিরিক্ত সময় কেন লাগছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ‘ঐকমত্য কমিশন’-এ সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। যেসব প্রস্তাবের ওপর ঐকমত্য হবে, তা ‘জুলাই সনদ’ হিসেবে প্রকাশ করা যেতে পারে। আর যেসব বিষয়ে মতভেদ থাকবে, তা জনগণের বিবেচনায় ছেড়ে দিতে হবে, নির্বাচনের পর গঠিত সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করবে।”
তিনি সতর্ক করেন, “সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব জনমনে উদ্বেগ তৈরি করছে। তাই নতুন একটি রাজনৈতিক চুক্তি ও গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরুর জন্য সবার পক্ষ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।”
অন্যদিকে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ তিন দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, “প্রথমত, কোনো ধরনের সংস্কার আনতে চাইলে তা কতটা সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন—সেই বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, যারা নির্বাচনে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তা দৃশ্যমান হতে হবে। তৃতীয়ত, ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে কোন মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি স্পষ্ট করে জানাতে হবে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন