জানা যায়, আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ বাজার সংলগ্ন মাঠে কোরবানির হাট বসানোর জন্য ইজারার আবেদন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের অনুসারী ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। অপরদিকে, একই হাটের ইজারা নিতে আগ্রহ দেখান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলের সমর্থক ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান মৃধা।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, গত ২১ মে ইজারা পান রফিকুল ইসলাম। তিনি অনুমোদিত স্থান হিসেবে হাসনাবাদ বাজারের পাশের বালুর মাঠে হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু ইজারা না পাওয়া মনিরুজ্জামান তার অনুসারীদের নিয়ে পূর্বের জায়গা, অর্থাৎ হাসনাবাদ স্কুলপাড়া এলাকায় হাট বসানোর ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হলে ইউএনও মো. মাসুদ রানা শনিবার উভয় পক্ষকে আলোচনার জন্য কার্যালয়ে ডাকেন। বৈঠক চলাকালে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি বেধে যায়। একে অপরের ওপর হামলার অভিযোগও উঠে। ইউএনও ও উপজেলা বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে।
মনিরুজ্জামান মৃধা অভিযোগ করে বলেন, “আমিসহ আটজন টেন্ডার জমা দিয়েছিলাম। পরে বিএনপির মধ্যস্থতায় সবাই মিলে তা প্রত্যাহার করি। তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, যিনি ইজারা পাবেন, তিনি সবাইকে অংশীদার করবেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি।” তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে, রফিকুল ইসলাম বলেন, “পূর্বের স্থানে পানি জমে থাকায় হাট বসানোর জন্য নতুন জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কার্যালয়ে কিছু কথাবার্তা হয়েছে ঠিকই, তবে কোনো ধস্তাধস্তি হয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছি।”
ইউএনও মো. মাসুদ রানা বলেন, “দুই পক্ষকে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতিতে গড়ায়। এখন বিষয়টি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যদি এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, তাহলে ১৪৪ ধারা জারি করে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন