বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ট্রাকসহ শাড়িগুলো জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিরাম ইউনিয়নের নৈহটি বাজার থেকে ভারতীয় শাড়ির একটি চালান বারহাট্টার দিকে আসছিল এমন খবর পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থান নেন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কৈলাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ট্রাকটি আটক করে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাড়িসহ ট্রাকটি থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে আসমা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান জানান, গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে তারা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। আটক ট্রাক ও মালামাল সম্পর্কে বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করার পর পুলিশকে জানানো হয়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল বলেন, বিএনপি সবসময় অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে। চোরাচালানে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোন্তাক আহমদ জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি বারবার থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে আছি, যেকোনো পরিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপি সহযোগিতায় প্রস্তুত।”
এদিকে, বারহাট্টা থানার ওসি জানান, জব্দ করা শাড়িগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা শেষ হলে শাড়ির সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে আইনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চোরাচালানিরা চিরাম ইউনিয়নের পুটাকিয়া-নৈহটি-বারহাট্টা সড়ক ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহন করে আসছে। কারণ পুটাকিয়া গ্রামটি নেত্রকোনার বারহাট্টা, কলমাকান্দা ও সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত, যা চোরাচালানকারীদের জন্য সুবিধাজনক রুটে পরিণত হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন