কয়েকজন নেতার মতে, ভাষণে তিনি নির্বাচনের একটি রূপরেখা তুলে ধরতে পারেন। তবে ভিন্নমতও রয়েছে—কেউ কেউ মনে করছেন, ড. ইউনূস কেবল তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও সময়সূচি ঘোষণার সম্ভাবনা কম।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একাধিক সূত্রে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে তাদের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক দলীয় প্রধান ও জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বলছেন, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দিতে পারেন ড. ইউনূস। তবে তার বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়েই এখন মূল প্রশ্ন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমি মনে করি অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচনের একটি রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। শুধু তা-ই নয়, তার এই ভাষণের মাধ্যমে জাতির সামনে অবস্থান স্পষ্ট করার প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যদি তার তত্ত্বাবধানে নির্বাচন আয়োজন করেন, তাহলে তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক হবে।”
বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্রও মনে করে, ভাষণে নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার সম্ভাবনা কম। তবে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে জাতির উদ্দেশে তিনি একটি স্পষ্ট অঙ্গীকার জানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট সম্পন্ন করার জন্য বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে যাচ্ছে। জানা গেছে, ঈদের পর প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন। সেখানেও তিনি প্রবাসী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন