দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয় চলতি মে মাসের শুরুতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। কূটনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের ভেতরেও এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
নতুন সচিব নিয়ে জল্পনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব কে হবেন, তা নিয়ে চলছে নানা নাম আলোচনা। যদিও এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কোনো প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকা বা সামারি জমা পড়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। পেশাদার কূটনীতিকদের কয়েকজনের নাম সামনে এলেও নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বদলের পেছনের প্রেক্ষাপট
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। এরপরই তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে।
তবে চলমান নানা কূটনৈতিক সমন্বয় এবং সরকারের নতুন নীতিমালার আলোকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
টোকিও বৈঠকেও জসীমের অনুপস্থিতি
পররাষ্ট্র সচিবের এই অনিশ্চয়তা প্রভাব ফেলেছে দাপ্তরিক কার্যক্রমেও। ১৫ মে টোকিওতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-জাপান ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক শেষ মুহূর্তে স্থগিত করতে চায় বাংলাদেশ। তবে মঙ্গলবার দুপুরে নতুন সিদ্ধান্তে বৈঠক নির্ধারিত সময়েই হবে বলে জানানো হয়।
প্রথমে সচিব জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও, পরে সিদ্ধান্ত আসে যে সচিব (পূর্ব) ড. মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন। এই পরিবর্তনকে ঘিরেই মূলত আলোচনার সূত্রপাত।
চাকরির মেয়াদ ও ভবিষ্যৎ
মো. জসীম উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এ সময় পর্যন্ত তাকে নতুন কোনো পদে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে কাতার, গ্রিস, ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। এথেন্সে রাষ্ট্রদূত থাকাকালে বাংলাদেশ দূতাবাস ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন পদক অর্জন করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন