বিএনপির এক নেতার বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে ক্ষোভ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলেছে, দেশের সম্মানিত আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে কটূক্তি করে তিনি সীমা লঙ্ঘন করেছেন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের তথাকথিত উপদেষ্টা ফজলুর রহমান সম্প্রতি এক জাতীয় টেলিভিশন টকশোতে যেভাবে ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ জনগণের বিরুদ্ধে অবজ্ঞাসূচক ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, "এই ব্যক্তি শুধু আলেমসমাজ নয়, তাদের জন্মদাত্রী গর্বিত মায়েদের প্রতিও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।"
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে জুনাইদ আল হাবিব প্রশ্ন তোলেন, "একজন ধর্মবিদ্বেষী কীভাবে আপনার উপদেষ্টার আসনে আসীন হতে পারেন? ২০১৩ সালের ওলামা ও তৌহিদি জনতার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে যাঁরা সমর্থন দিয়েছিলেন, তাদের একজন ছিলেন আপনার মা বেগম খালেদা জিয়া। অথচ তার দলে আজ এমন নেতার অবস্থান গভীর উদ্বেগের বিষয়।"
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থানকালীন সময়েও ফজলুর রহমানের মতো কয়েকজন নেতা বিএনপিকে বিভ্রান্ত করেছিল। তিনি মনে করিয়ে দেন, "শাহবাগের ভারতপন্থী আন্দোলনের বিরুদ্ধে হেফাজত ও তৌহিদি জনতা যেভাবে প্রাণপণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তা বাংলাদেশকে ভারতীয় আগ্রাসন থেকে রক্ষা করেছিল। অথচ আজ সেই জনগোষ্ঠীর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হচ্ছে।"
হেফাজত নেতা বলেন, “আশা করি, বিএনপি দলীয়ভাবে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। অন্যথায় এমন নেতারা দলের ভাবমূর্তি ও জনসমর্থনে চিড় ধরাতে থাকবে।”
আসন্ন গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামা ও মাদরাসাছাত্রদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বর্তমান বাস্তবতায় আলেমসমাজকে উপেক্ষা করে রাজনীতি বা সমাজচিন্তা করা অসম্ভব। ইসলাম ও আলেমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়ে কেউ টিকে থাকতে পারবে না। আমেরিকার তথাকথিত ‘ওয়ার অন টেরর’ বা ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণা থেকে জাতিকে মুক্ত রাখতে জ্ঞান ও সচেতনতা জরুরি।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন