সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা থেমে গেলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েই চলেছে। একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনায় দুই দেশের মাঝে বিরাজ করছে এক ধরনের ‘নীরব স্নায়ুযুদ্ধ’। এই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পালা, যা উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন। মোদীর হুঁশিয়ারির ঠিক একদিন পর, বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ কাশ্মীর সীমান্তসংলগ্ন শিয়ালকোটের পাশরুর সেনানিবাসে যান। সেখানে ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ওই সামরিক অভিযানকে “পাকিস্তানের জন্য এক ঐতিহাসিক অধ্যায়” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “মোদী সাহেব, আপনি যদি আবার আগ্রাসনের পথে হাঁটার চিন্তা করেন, তবে মনে রাখবেন—পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে এবার এমন জবাব দেওয়া হবে যাতে সবকিছু ছারখার হয়ে যাবে।”
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী হলেও, কেউ যেন এই মনোভাবকে দুর্বলতা হিসেবে না দেখে। একই সঙ্গে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে ভারতকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি লঙ্ঘনের সাহস যেন কেউ না করে।”
যদিও সীমান্তে সরাসরি সংঘর্ষ আপাতত বন্ধ রয়েছে, তবে কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্তরে উভয় পক্ষের তৎপরতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে—উত্তেজনা এখনো বহাল রয়েছে। দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য সেই অস্থিরতাকে আরও জটিল করে তুলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন