বগুড়ার শেরপুরে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে মুক্ত করতে থানায় ছুটে যান বাংলাদেশ ছাত্রঅধিকার পরিষদের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত সরে পড়েন তিনি। রোববার (১২ মে) রাতে শেরপুর থানায় এই ঘটনা ঘটে।
ছাত্রঅধিকার পরিষদের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান পলাশ ওই থানায় হাজির হন রাতে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে। তার আগমনের কারণ ছিল কুসুম্বি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলামের মুক্তি দাবি।
সাইফুল ইসলাম ও সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আবু সাদাত মোহাম্মদ ছাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করা হয় গত বছরের ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভাঙচুর ও সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায়।
থানা সূত্র জানায়, পুলিশ মিজানুরকে গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া প্রাথমিক প্রমাণ উপস্থাপন করলেও তিনি তাকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে মিজানুর রাত ১১টার দিকে থানার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
ঘটনার বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “সাইফুল ইসলাম আমাদের একজন ছাত্রনেতার আত্মীয়। আমাকে জানানো হয়েছিল, তিনি নির্দোষ। তাই বিষয়টি যাচাই করতে থানায় যাই। পরে পুলিশের কাছে প্রমাণ দেখে বুঝতে পারি, তিনি মূলত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহযোগী।”
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, “মিজানুর রহমান দীর্ঘ সময় ধরে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এবং সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন