একটি দলই ডিসেম্বরে নির্বাচন কেন চায়, কী কারণে চায় বুঝতে হবে : এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সর্বশেষ জুলাই মাসের আন্দোলনে আহত নেতাকর্মীদের মধ্যে চারজন দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই নেতাকর্মীদের যথাযথ চিকিৎসা হয়নি এবং তারা ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দলের পক্ষ থেকে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর সময় এ্যানি বলেন, “আহতদের খুব সামান্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, যা তাদের মোটেও সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তাদের চোখে মুখে আমরা যে ক্ষোভ ও কষ্ট দেখেছি, তা আমাদেরও নাড়া দিয়েছে।”

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয়ভাবে আহতদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে এবং দলের চিকিৎসক দল আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সরকারকে এ বিষয়ে দায়ী করে এ্যানি বলেন, “সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। দৃষ্টিশক্তি হারানো, পঙ্গুত্ব, এমনকি গুম-খুনের মতো ভয়াবহ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেটি তারা দেখায়নি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকার কেন এতো উদাসীন ছিল? কেন একটি বিশেষ মেডিকেল সেল গঠন করে আহতদের পাশে দাঁড়ায়নি?”

চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারকে একতরফাভাবে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে এ্যানি বলেন, “দেশে যদি প্রকৃত নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এই দায় এড়িয়ে যেতে পারত না। এখন একটি দল এককভাবে ডিসেম্বরের নির্বাচন চায়— কেন চায়, তা জনগণ বুঝে নিক।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন কিংবা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাদের ত্যাগের মর্যাদা রক্ষার জন্যই আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এটা কোনো অপরাধ নয়— এটা জনগণের অধিকার।”

এ্যানির বক্তব্যে সরকারের প্রতি ক্ষোভ যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি আহত নেতাকর্মীদের প্রতি দলীয় সংহতি ও সহমর্মিতার বার্তাও দিয়েছেন তিনি

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন