খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, আজ বুধবার আপিল বিভাগে পুনরায় শুনানি শুরু হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছেন, তারা যেসব যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, সেগুলো বিবেচনায় নিলে আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। এর আগে, উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আপিল বিভাগ ৮ মে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন, গুরুতর জখম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি ঘটনায় নয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর মধ্যে ছিল অভিযোগ নম্বর ২, ৩ ও ৪। এছাড়া অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে ২৫ বছর এবং আরেকটি নির্যাতনের ঘটনায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অভিযোগ নম্বর ২, ৩, ৪ ও ৬-এর দণ্ড বহাল রাখা হয়, তবে পাঁচ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

এরপর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে, একই বছরের ১৯ জুলাই এটিএম আজহারুল ইসলাম রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। ২৩ পৃষ্ঠার এ আবেদনে তিনি ১৪টি যুক্তি তুলে ধরেন।

শুনানি শেষে, ২০২৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ আপিলের অনুমতি দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বর্তমানে আপিলের শুনানি চলছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন