এই ঘটনার পর গণমাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালকদের দুর্দশার খবর প্রকাশিত হলে, বিষয়টি নজরে আসে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের। মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তিনজন চালককে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। তারই ধারাবাহিকতায়, বুধবার (১৪ মে) ডিএনসিসির প্রশাসকের কার্যালয়ে তিন রিকশাচালককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
সহায়তা পাওয়া চালকরা হলেন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির মো. খলিল, ময়মনসিংহের কোতোয়ালির রাসেল মিয়া এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জের সুমন মৃধা।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “মানবিক বিবেচনায় আমরা এই সহায়তা দিয়েছি। তবে ভবিষ্যতে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারীদের বিকল্প পেশা খুঁজতে হবে। রাজধানীর প্রধান সড়কে কোনোভাবেই রিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া যাবে না।”
এ সময় তিনি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন, যেন ক্ষতিগ্রস্ত তিন চালককে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
রিকশা সংকটের বিকল্প হিসেবে সরকার ইতোমধ্যে বুয়েট অনুমোদিত নিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিকশা উৎপাদনের জন্য কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছে বলেও জানান প্রশাসক। তিনি আরও বলেন, চালকদের দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্র্যাক ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ রিকশাচালককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এবং চলতি মাসেই সেই কার্যক্রম শুরু হবে।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন