মিয়ানমারে সামরিক জান্তার চালানো একটি ভয়াবহ বিমান হামলায় দেশটির একটি স্কুলে অন্তত ১৭ শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২০ জনের বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার (স্থানীয় সময়) এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সাগাইং অঞ্চলের দেপায়িন শহরে, যা মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এনইউজি পরিচালিত একটি স্কুল ছিল এই হামলার লক্ষ্যবস্তু।
এনইউজির মুখপাত্র নে ফোন লাট জানান, “বর্তমানে আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে ১৭ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধান চলছে, ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।”
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা সরকার বিরোধীদের দমন করতে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে আসছে। ফলে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সহিংসতা ও সংঘাত। সামরিক সরকার এখন বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে, বিশেষ করে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও এনইউজি-সমর্থিত প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য চাইলে জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়ে দেন, তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না।
এপ্রিলে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জান্তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে বাস্তবতায় দেশটির বেশ কিছু এলাকায় এখনো সরকারি বাহিনীর বিমান ও কামান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এনইউজি হচ্ছে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ছায়া সরকার। এতে বিভিন্ন জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীও যুক্ত রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন