সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিআইএফএ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর অংশগ্রহণ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। একসময় আলোচিত এই অভিনেতা হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছুটা অন্তরালে থাকলেও পুরস্কার গ্রহণ করতে আবারও প্রকাশ্যে দেখা গেছে তাকে। অথচ, তার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ।
এই বিতর্কিত অভিনেতার হাতে পুরস্কার তুলে দিতে দেখা গেছে বিএনপির তরুণ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে। বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুঃখ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দেন ইশরাক। তিনি জানান, “১৬ মে শুক্রবার, দেশের একটি স্বনামধন্য স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের আমন্ত্রণে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কিছু সময়ের জন্য উপস্থিত হই।”
তিনি আরও লেখেন, “কে কে সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন কিংবা কাকে পুরস্কার দিতে হবে, তা আগে থেকে জানতাম না। একজন বিতর্কিত ব্যক্তির হাতে পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে তার সঙ্গে ছবি তোলা হয়ে যায়। তাকে আমি আগে চিনতাম না এবং তার অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও অবগত ছিলাম না। ২০১৫ সালে দেশের বাইরে থাকায় সেসময়ের অনেক স্পর্শকাতর ঘটনা আমার দৃষ্টির বাইরে থেকে গেছে। এটা আমার একটি সীমাবদ্ধতা, জানার কথা ছিল।”
ইশরাক তার পোস্টে আরও বলেন, “ছবিটি প্রকাশের পর অনেক প্রিয় ভাই ও সহযোদ্ধার মনে কষ্ট লেগেছে—সে জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় আরও সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে নেতার অজ্ঞতা হিসেবে দেখলেও, অনেকেই এটি দায়িত্বশীলতার অভাব বলেও মন্তব্য করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন